![]() |
গুগলের সেরা ৫ এপ যা মানুষ জানে না |
পৃথিবীর এক নম্বর কোম্পানি গুগল নানা ধরনের এপ তৈরি করে থাকে। গুগলের কোন এপ মানেই সেটিতে থাকবে দারুণ সকল ফিচারস। কিন্তু এমন অনেক এপ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে মানুষের ধারনা নেই বা মানুষ সেগুলো সম্পর্কে কম জানে। এই ব্লগে আমি সেসকল এপ সম্পর্কে লিখছি যেগুলো খুবই কার্যকর, তবে মানুষ জানেনা বলে সেগুলো ব্যবহার করেনা।
যদি তুমি সম্পূর্ণ ব্লগ পড়ার সময় না পাও, তাহলে ভিডিওটি সংক্ষেপে দেখে নাও --
১/ গ্রাসহোপার (Grasshopper)
গ্রাসহোপার : লার্ণ টু কোড হলো গুগলের পক্ষ থেকে কোডিং করার জন্য একটি এপ। যদিও এটির নামানুসারে বুঝা যায় কোডিং শেখা কিন্তু এই এপে কোডিং শেখা নয় বরং কোডিং প্র্যাকটিস করা হয়। নাম দ্বারা সেই প্র্যাকটিস থেকেই মূলত কোডিং শেখানোকে বুঝানো হয়েছে।
এটি জাভাস্ক্রিপ্ট নির্ভর অর্থাৎ এটিতে জাভাস্ক্রিপ্টের কোডিং প্র্যাকটিস করা যায়। এপটিতে বিভিন্ন টাস্ক ও কুইজ থাকে জাভাস্ক্রিপ্ট নির্ভর। জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে সেই টাস্কগুলো কমপ্লিট করতে হয়। এপটিতে বিভিন্ন মিশন রয়েছে। সেই মিশনগুলো শেষ করলে পয়েন্ট দেয়া হয়। পয়েন্ট পাওয়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর লেভেল বৃদ্ধি পায়।
এপটি মূলত বেসিক লেভেলের কোডিং বা যারা কোডিং শেখা শুরু করছে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য।
ব্যবহার :
১/ প্রথমেই প্লে স্টোর থেকে Grasshopper : Learn to Code এপটি ডাউনলোড করে নাও।
![]() |
চিত্র - ১: প্লেস্টোর |
২/ এপটির ভালো বিষয় হলো এপটি ব্যবহারের জন্য গুগল একাউন্টের প্রয়োজন নেই। তাই এপটিতে গুগলে সাইন ইন করেও ব্যবহার করা যায় আবার সাইন ইন ছাড়াও ব্যবহার করা সম্ভব। তবে সাইন ইন না করলে প্রোগ্রেস অনলাইনে সেইভ থাকবে না তাই ডিভাইস হারিয়ে গেলেই প্রোগ্রেস হারিয়ে যেতে পারে।
সাইন ইন ছাড়া ব্যবহার করতে চাইলে "Start without sign in" বাটনে ক্লিক করো। আর গুগল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে চাইলে "Sign in with Google" বাটনে ক্লিক করো।
![]() |
চিত্র - ২: এপে প্রবেশ |
৩/ এপটিতে প্রবেশ করলে একটি ইন্ট্রো থাকবে, সেখান থেকে "Lets get started" বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর এপটি জানতে চাইবে তুমি কোডিং কি সেটি জানো কিনা। যদি জানো তাহলে উপরের "Yes, I'm ready to explore the app!" বাটনে চাপো না হলে "No, what is code" বাটনে চাপো।
![]() |
চিত্র - ৩.১: শুরু করা |
বিশেষঃ কোন টাস্ক কেমন হবে সেটির ফলাফলও টাস্ক করার পূর্বে এপটিতে দেখে নেয়া যায়। আবার, কোন টাস্ক করতে অসুবিধা হলে বা না পারলে সেটির জন্য কোথায় সাহায্য পাওয়া যাবে সেটির লিঙ্কও দেয়া থাকবে।
![]() |
চিত্র - ৪: জাভাস্ক্রিপ্ট টাস্ক |
২/ টুনটাস্টিক (Toontastic)
ছোটবেলায় আমরা সবাই কার্টুন দেখেছি। আমিতো এখনও দেখি (বয়স বাড়লেও মন টাকে ছোট শিশুর মতো রাখো)। সে যাহোক, কখনো কি ভেবেছ নিজেই কার্টুন বানাবে? অনেকে হয়তো ভেবেছো। আর অনেকে সেই ভাবা থেকে কার্টুন বানানোর টিউটোরিয়াল দেখে ফেলেছো। কিন্তু, কার্টুন বানানোর সেই টিউটোরিয়াল দেখে বুঝেছো কার্টুন বানানো কোন শিশুর খেলা নয়।
তবে এবার তুমি তোমার হাতের মুঠোর ফোন দিয়েই কার্টুন বানিয়ে ফেলতে পারো। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছো ফোন দিয়ে কার্টুন তৈরি।
টুনটাস্টিক নামের এই এপটি সেরকমই একটি এপ যেটি ব্যবহার করে ফোন দিয়ে কার্টুন বানানো সম্ভব। এটি
দিয়ে মূলত বিভিন্ন কার্টুন এনিমেশন বানানো যায়।
ফোন দিয়েই যদি কার্টুন বানানো যেতো তাহলে মানুষ আর কম্পিউটার ব্যবহার করে কার্টুন বানাতো না।
হ্যাঁ, আমি বলছিনা এটি দিয়ে একদম প্রোফেশনাল লেভেলের কার্টুন বা এনিমেশন হবে, কারণ এটির পর্যায় খুবই সীমিত। তবে একটু নতুন আইডিয়া থাকলে মজার মজার এনিমেশন এটি দিয়েই তৈরি করা সম্ভব। আর আমি বিশ্বাস করি বাঙালির যত অভাবই থাকুক না কেন আইডিয়ার কোন অভাব নেই।
ব্যবহার :
১/ এপটি প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করো-- Toontastic 3D
![]() |
চিত্র - ১: প্লেস্টোর |
২/ গুগলের অন্যান্য এপের থেকে আলাদা এই এপে সাইন ইন করার কোন প্রয়োজন নেই। এপটিতে প্রবেশ করলে "+" চিহ্ন দেখতে পাবে সেটিতে ক্লিক করে কার্টুনের জন্য নতুন একটি সিন তৈরি করতে পারবে।
'+' বাটনে ক্লিক করার পর তিনটি অপশন থাকবে। এই তিনটি অপশন মূলত তিন ধরনের কার্টুনকে বুঝায়। এই অপশনের ভেতর আবার কয়েকটি অংশ রয়েছে যেগুলো হলো সম্পূর্ণ কার্টুনের এক একটি সিন বা দৃশ্য। এই তিনটি কার্টুন অপশন হলোঃ
৩/ যেকোন একটি সিন নির্বাচনের পর সেটিং নির্বাচন করতে বলবে। সেটিং বলতে মূলত কোন দৃশ্যকে বুঝায়, এটি মূলত লোকশন। নিজের কাহিনী অনুসারে নির্দিষ্ট সেটিং নির্বাচন করো।
৪/ সেটিং নির্বাচনের পর ক্যারেক্টার বা চরিত্র নির্বাচন করতে বলবে। অনেকগুলো ক্যারেক্টার থেকে নিজের মন মতো চরিত্র নির্বাচন করো। এক বা একাধিক ক্যারেক্টার নির্বাচন করা যায়।
৫/ ক্যারেক্টার নির্বাচন করলে ক্যারেক্টারগুলো সিনের মাঝে উপস্থিত হবে। পরে 'Start' বাটনে ক্লিক করতে হবে। বাটনে ক্লিক করলেই সিন বা দৃশ্য শুরু হবে। পরে দৃশ্য ও কাহিনী মোতাবেক ক্যারেক্টারগুলো হাত দিয়ে নাড়াতে হবে। দৃশ্যের সময় অডিও রেকর্ড হয় তাই ক্যারেক্টার নাড়ানোর সময় নিজে বা বন্ধুর সাথে কথা বলে দৃশ্য তৈরি করে ফেলতে পারো।
৬/ দৃশ্য তৈরি করা শেষ হলে "Export" বাটনে ক্লিক করে সেই দৃশ্যকে ফোনে সেইভ করে রাখতে পারো।
'+' বাটনে ক্লিক করার পর তিনটি অপশন থাকবে। এই তিনটি অপশন মূলত তিন ধরনের কার্টুনকে বুঝায়। এই অপশনের ভেতর আবার কয়েকটি অংশ রয়েছে যেগুলো হলো সম্পূর্ণ কার্টুনের এক একটি সিন বা দৃশ্য। এই তিনটি কার্টুন অপশন হলোঃ
- শর্ট স্টোরি (Short Story) : বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট কাহিনীর দৃশ্য তৈরিতে এটি ব্যবহার করা যায়। এটির তিনটি অংশঃ Begining (শুরু), Middle (মধ্যম), End (শেষ)
- ক্লাসিক স্টোরি (Classic Story) : এটিও শর্ট স্টোরির মতোই তবে এটির ৫ টি অংশ রয়েছেঃ Setup (সেটাপ), Conflict (কনফ্লিক্ট), Challenge (চ্যালেঞ্জ), Climax (ক্লাইম্যাক্স), Resolution (রিজোলুশন)
- সায়েন্স রিপোর্ট (Science Report) : বৈজ্ঞানিক কোন পরীক্ষার উপর কোন কার্টুন বা এনিমেশন তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়। এটিরও পাঁচটি অংশ রয়েছেঃ Question (কুয়েশ্চেন), Hypothesis (হাইপোথিসিস), Experiment (এক্সপেরিমেন্ট), Result (রেজাল্ট)
![]() |
চিত্র - ২: তিন ধরনের দৃশ্য |
![]() |
চিত্র - ৩: বিভিন্ন সেটিং |
![]() |
চিত্র - ৪: বিভিন্ন চরিত্র |
![]() |
চিত্র - ৫: দৃশ্য তৈরি |
![]() |
চিত্র - ৫: এক্সপোর্ট করা |
৩/ ফটোস্ক্যান (PhotoScan)
'ফটোস্ক্যান' এপটি তৈরি করেছে গুগল ফটোজ।
অতীতে যখন স্মার্টফোনের এতো ব্যবহার ছিলোনা তখন মানুষ ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে সেগুলোর প্রিন্ট আউট করতো। কিন্তু এখন সেগুলোর বেশিরভাগই হারিয়ে গেছে ফোনের ক্যামেরার ব্যবহারে। যদিও বর্তমানে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় অনেকে সেই পুরনো ছবিকে ফোন দিয়ে তুলে ফেসবুকে আপলোড করে। কিন্তু সেই ছবিগুলো মোটেও মূল ছবির মতো হয়না। কারণ, কাগজের ফটোকে সঠিক আকারে ক্রপও করা যায়না আবার ছবি থেকে ছবি তুললেও ভালো হয়না। কিন্তু এই এপটি স্ক্যানার হিসেবে কাজ করে ও কাগজের ছবি থেকে নতুন আরেকটি ছবি তৈরি করে।
ব্যবহার :
১/ প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করো -- PhotoScan by Google Photos
![]() |
চিত্র - ১: প্লেস্টোর |
![]() |
চিত্র - ২: ফটোস্ক্যানের নিয়ম |
৩/ গুগলের এই ফটো স্ক্যানটি মূলত কাগজের ছবির চারটি আলাদা আলাদা ছবি তুলে যেগুলোকে একসাথে প্রসেস করে নতুন একটি ছবিতে পরিণত করে।
![]() |
চিত্র - ৩: ফটোস্ক্যানের কাজ |
৪/ সায়েন্স জার্নাল (Science Journal)
বিজ্ঞানের ছাত্র কিন্তু কখনো সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট করোনি তা কিভাবে সম্ভব। বিজ্ঞানের ছাত্র হতে হলে অবশ্যই তোমাকে কিছু পরীক্ষা করতে হবে এবং সেগুলো প্র্যাকটিকেল খাতায় তুলতে হবে, জ্বি হ্যাঁ এটাই সায়েন্স। যারা অন্যদের দিয়ে এসব নোটপত্র করায় তাদের কথা বাদই দিলাম। যাহোক, সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট হবে এবার এপ দিয়ে।
হুম, "সায়েন্স জার্ণাল" এপটি শিক্ষার্থীদের জন্য এমনই একটি গুগলের এপ যেটি সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট করতে সহায়তা করবে। গুগলের এই এপটি ফোনের বিভিন্ন সেন্সর ব্যবহার করে নানা ডাটা বা তথ্য প্রদর্শন করে যা এক্সপেরিমেন্ট বা পরীক্ষার কাজে লাগে।
ব্যবহার :
১/ প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করো -- Science Journal
![]() |
চিত্র - ১: প্লেস্টোরে সায়েন্স জার্ণাল |
২/ এপটিতে প্রবেশ করে "Get Started" বাটনে ক্লিক করো।
![]() |
চিত্র - ২: শুরু করা |
৩/ শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য এপটি ব্যবহারকারী সাইন ইন করেও ব্যবহার করতে পারে আবার সাইন ইন করা ছাড়াও ব্যবহার করতে পারে।
সাইন ইন করার জন্য "Sign in" বাটনে ও সাইন ইন করতে না চাইলে নিচের দিকের "Continue without signing in" এ ক্লিক করতে হবে।
![]() |
চিত্র - ৩: সাইন ইন |
৪/ এপটিতে প্রবেশের পর কোন পার্মিশন চাইলে সেগুলো "Allow" করে দিতে হবে।
![]() |
চিত্র - ৪: পার্মিশন দেয়া |
৫/ নতুন এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য "+" চিহ্নতে ক্লিক করতে হবে।
![]() |
চিত্র - ৫: নতুন এক্সপেরিমেন্ট করা |
৬/ নতুন এক্সপেরিমেন্ট করতে গেলে চারটি প্রধান অপশন দেখতে পাবে --
- Observation (অবজারভেশন) : পরীক্ষা করে তুমি যা বুঝতে পেরেছো সেগুলো এখানে লিখবে
- পরীক্ষা : দ্বিতীয় নাম্বারে যে অপশনটি রয়েছে সেটিই আসল ফিচার, সেটি হলো বিভিন্ন পরীক্ষা করার অপশন। এই অপশনটিতে গেলে তুমি আরও অপশন দেখতে পাবে, যেখানে তোমার ফোনের সেন্সরের ভিত্তিতে কিছু পরীক্ষা করার অপশন থাকবে। যেমনঃ সাউন্ড ইন্টেন্সিটি ব্যবহার করে শব্দের মাত্রা নির্ণয়, এক্সেলারেটর সেন্সর ব্যবহার করে ফোনের পৃষ্ঠতলের মান নির্ণয়, শব্দের পিচ নির্ণয়, কম্পাস প্রভৃতি।
- ছবি তোলা : এক্সপেরিমেন্টের জন্য কোন ছবি তুলতে হলে এই অপশন ব্যবহার করতে হবে।
- গ্যালারী : এক্সপেরিমেন্টের জন্য ছবি না তুলে গ্যালারী থেকে ছবি এক্সপেরিমেন্টে যুক্ত করতে চাইলে এই এপ ব্যবহার করতে হবে।
৫/ সাউন্ড এমপ্লিফায়ার (Sound Amplifier)
অনেক সময় আমাদের ফোনের সাউন্ড খুববকম শোনা যায় বা শব্দের মান খুব খারাপ হয়। আর এমন পরিস্থিতি এড়াতেই গুগল এন্ড্রয়েডের জন্য এনেছে "সাউন্ড এমপ্লিফায়ার" নামক এই এপটি।সীমাবদ্ধতা: শব্দের মান আসলেই বাড়াতে উন্নত হার্ডওয়্যার প্রয়োজন আর এই এপটি শুধুমাত্র হেডফোন যুক্ত করা থাকলেই কাজ করে।
ব্যবহার :
১/ প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করো -- Sound Amplifier
![]() |
চিত্র - ১: প্লেস্টোরে সাউন্ড এমপ্লিফায়ার |
২/ এই এপটি শুধুমাত্র হেডফোন লাগিয়ে রাখলেই কাজ করে, শুধুমাত্র ওয়ার্ড (তারযুক্ত) হেডফোন। তাই হেডফোন লাগানো আছে কিনা আগে নিশ্চিত করো।
![]() |
চিত্র - ২: হেডফোন লাগানো |
৩/ কিছু পার্মিশন চাইলে "Allow" করে দাও।
![]() |
চিত্র - ৩: পার্মিশন দেয়া |
৪/ এপটিতে প্রধান তিনটি অপশন রয়েছে -- সাউন্ড, নয়েজ এবং সোর্স।
সাউন্ড অপশনটিতে বুস্ট নামের একটি সেটিং থাকবে যা সাউন্ড বুস্ট করবে, আরেকটি অপশন থাকবে ফাইন টিউনিং যা শব্দের টোনকে সুন্দর করবে।
নয়েজ অপশনটিতে শব্দের মাঝে কোন নয়েজ থাকলে তা রিমুভ করবে। এটির তিনটি পরিমাণ রয়েছে -- হাই, মিডিয়াম ও লো। শব্দের মাঝের নয়েজের ভিত্তিতে এই লেভেলগুলো ব্যবহার করা হয়।
সোর্স অপশনে মাইক্রোফোনের সোর্স কোনটি হবে তা নির্ধারিত হয়। তুমি যদি চাও তোমার ফোনের মাইক্রোফোনও ব্যবহার করতে পারো আবার হেডফোনের মাইক্রোফোনও ব্যবহার করতে পারো।
![]() |
চিত্র - ৪.১: সাউন্ড অপশন |
![]() |
চিত্র - ৪.২: নয়েজ রিডাকশন |
![]() |
চিত্র - ৪.৩: মাইক্রোফোনের সোর্স |
0 মন্তব্যসমূহ